ভরন্ত ডবকা শালি
“কপাল করে এইছিলে গো তুমি না, এই মাসেই…”
হঠাৎ চমকে ওঠে গজেন দাস। বলে, “আমাকে কী ভেবেছ? ছেলেটার খোঁজ নেই, কোথায় গেছে, কেমন আছে, সে বিষয়ে কোনো খোঁজ না নিয়ে তুমি এসেছো আমার বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে? লজ্জা হয় না? ভাবলাম তোমরা বুঝি ভজনের খবর এনেছো।”
নরহরি নময় লাগে না। বহু ঘাটের জল খাওয়া মানুষ সে। রাগতে থাকা গজেনকে শান্ত করতে বলে, “মন রেগে যাচ্ছ কেন, গজেন? ছেলে তো তোমার হলেও কাল। কিন্তু এমন সম্বন্ধ তো বসে থাকবে না।”
গজেন উত্তেজিত স্বরে বলে, “আমার কাটা ঘায়ে আর নুন দিও না।”
ভাইয়ের নিরুদ্দেশের খবর পেয়ে সকালেই লীলাবতী বাপের বাড়ি চলে আসে। আসার পর থেকে সে শুধু কান্নাকাটি করে চলেছে। রান্নাঘরে বাপের রাতের খাবারের ব্যবস্থা করছিল সে।
বাইরের ঘর থেকে বাপের চিৎকার শুনে তাড়াতাড়ি ছুটে যায় লীলা। পিসেমশাই নরহরিকে দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞাসা করে, “কী হয়েছে, পিসেমশাই?”
লীলা আসতেই নরহরি চুপসে যায়। তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়িয়ে বলে, “চল হে যোগেন, রাত হয়ে গেল, এবার ফেরা যাক।” সাগরেদকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ঘর ছাড়ে নরহরি।
ঝরঝর করে কেঁদে ফেলে গজেন। ঠিক তখনই বাইরে থেকে ডাক আসে, “দাস মশাই আছেন নাকি?”
গজেন বিরক্ত হয়ে বলে, “আবার জ্বালাতে এল কে?”
“এজ্ঞে আমি আমড়িপাড়ার বদন মাইতি। আপনার ছেলে ভজনকুমারের খবর নিয়ে এসেছি গো।”
পিসিওএস ও ওরাল কনট্রাসেপটিভ পিল
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS)-এর ক্ষেত্রে কীভাবে কাজ করে ওরাল কনট্রাসেপটিভ পিল? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট গাইনিকোলজিস্ট, ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন এবং ইনফার্টিলিটি স্পেশ্যালিস্ট ডা. প্রসেনজিৎ সরকার।
ওরাল কনট্রাসেপটিভ পিল মূলত ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের সংমিশ্রণ। তবে এটি শুধুমাত্র জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয় না, বরং অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যার সমাধানেও ব্যবহৃত হয়, তাই একে ‘কম্বাইনড পিল’ বলা হয়। PCOS-এর ক্ষেত্রে মহিলাদের শরীরে মেল হরমোন টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে পড়ে, ব্রণ দেখা দেয়, মুখে অতিরিক্ত লোম গজায়, ওজন বেড়ে যায় এবং কখনো কখনো বন্ধ্যাত্বের সমস্যাও দেখা দেয়।
ওরাল পিল-এ থাকা ইস্ট্রোজেন এই অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, ফলে PCOS-এর উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। তবে এই ধরনের পিল দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য নিরাপদ হতে হবে। থার্ড জেনারেশন পিল-এর ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কম থাকে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই ধরনের ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।
লাইফস্টাইল পরিবর্তনের গুরুত্ব
PCOS এখন প্রায় প্রতিটি মেয়েরই একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। এটি যে কোনো বয়সে হতে পারে। অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার পরিচিত এক তরুণী খুব অল্প বয়সেই PCOS-এর সমস্যায় পড়েছিল। এটি মূলত হরমোনজনিত একটি সমস্যা। তবে আমাদের অনেকেই নিজেদের কাজ, সংসার ও অন্যান্য দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নিজেদের যত্ন নেওয়া ভুলে যাই। কিন্তু নিজেকে সুস্থ রাখতে একটু স্বার্থপর হওয়াও দরকার।”
PCOS মোকাবিলায় লাইফস্টাইল পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোজ মেডিটেশন করা, ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, স্ট্রেস ফ্রি থাকার চেষ্টা করা প্রয়োজন। অভিনেত্রী বলেন, “আমি নিজেও এক সময় PCOS-এর সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। তবে পরে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনে সমস্যার সমাধান করেছি। তাই প্রতিদিন শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।”
যোগাযোগ
হোয়াটসঅ্যাপ: ৬২৯০৯০০৯০০
ফোন: ১৮০০ ১০২ ৭৪৪৭