তলপেটের ব্যথা ও ওভারি সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর জন্য ল্যাপারোস্কোপি একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি যা পেট না কেটে ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সিস্ট অপসারণ করতে পারে। এতে ওভারিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়, ফলে ভবিষ্যতে সন্তানধারণের অসুবিধা হয় না।
ক্রনিক পেলভিক পেন:
অনেক সময় বিভিন্ন পরীক্ষায় কিছু ধরা পড়ে না, কিন্তু তলপেটে দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা থাকে। ল্যাপারোস্কোপি এই ধরনের সমস্যাগুলোর কারণ খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের সংক্রমণ, এন্ডোমেট্রিওসিস, বা তলপেটের ধমনী ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা ধরা পড়তে পারে।
জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যা:
যদি জরায়ুতে টিউমার না থাকে, তবে জরায়ু বাদ না দিয়েও চিকিৎসা সম্ভব। হিস্টেরোস্কোপি পদ্ধতিতে জরায়ুর ভিতর পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং ইউটেরাইন বেলুন থেরাপি-র মাধ্যমে অতিরিক্ত রক্তস্রাব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
পলিসিস্টিক ওভারি ও ব্রণ:
যেসব কিশোরীদের মুখে অতিরিক্ত ব্রণ হয়, তাদের ক্ষেত্রে শরীরে পুরুষ হরমোনের আধিক্য বা পলিসিস্টিক ওভারি-র সমস্যা থাকতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং ওষুধ গ্রহণে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সন্তানধারণের সমস্যা ও ইনফার্টিলিটি:
যদি পরীক্ষায় কোনও কারণ ধরা না পড়ে, তাহলে এটি ‘আনএক্সপ্লেইনড ইনফার্টিলিটি’ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যয়বহুল চিকিৎসার পরিবর্তে ইন্ট্রাইউটেরাইন ইনসেমিনেশন (IUI) করানো যেতে পারে, যা গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায়।
মেনোপজের পর রক্তস্রাব:
মেনোপজের পর কোনও রক্তস্রাব হলে এটি এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। জরায়ু ও ওভারির ক্যানসারের ঝুঁকি থাকতে পারে, তাই হিস্টেরোস্কোপি ও বায়োপসি করে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
আপনার যেকোনো স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।