Miscarriage: চুপ করে বসে থাকবেন না!

গর্ভপাতের লক্ষণ:

  • তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা ও খিঁচুনি।
  • রক্তপাত হওয়া।

ডাক্তারের কাছে তাড়াতাড়ি গেলে কি গর্ভপাত আটকানো সম্ভব?

  • অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব। গর্ভপাতের কারণ দ্রুত জানা গেলে, চিকিৎসা করে তা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

গর্ভপাতের কারণ:

  • শিশুর জিনগত ত্রুটি বা অস্বাভাবিকতা।
  • মায়ের শারীরিক সমস্যা।

গর্ভপাতের পর কী কী সতর্কতা নেওয়া উচিত?

  • একবার গর্ভপাত হলে, পরবর্তী গর্ভধারণের আগে কারণ চিহ্নিত করে চিকিৎসা করানো জরুরি।
  • গর্ভাবস্থায় শারীরিক ও মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন।
  • যদি তলপেটে ব্যথা ও রক্তপাত শুরু হয়, দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • চলাফেরায় সাবধানতা অবলম্বন করুন, পেটে চাপ পড়ে এমন কাজ এড়িয়ে চলুন, এবং সিঁড়ি বেশি ওঠানামা করবেন না।
  • মাতৃসন্তান হওয়ার বয়স বাড়ার সাথে গর্ভপাতের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
  • প্রথম ও শেষ তিন মাসে কোনও ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না।
  • ধূমপান ও মদ্যপান সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন।

কয়েকটা সিগারেট কি ক্ষতি করতে পারে?

  • একটাও নয়! নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইড শিশুর জন্য ক্ষতিকারক। গর্ভধারণের পরিকল্পনার সময় থেকেই ধূমপান ছেড়ে দিন।

গর্ভাবস্থায় কি অ্যালকোহল নেওয়া যাবে?

  • সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা যাবে?

  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে, বিশেষ করে নরমাল ডেলিভারির জন্য।
  • অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয় এমন ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।
  • হালকা হাঁটা ভালো, তবে সাঁতার বা ভারী ব্যায়াম না করাই শ্রেয়।

গর্ভপাতের পর কোন পরীক্ষাগুলো করা দরকার?

  • রক্ত পরীক্ষা ও আল্ট্রাসাউন্ড (USG) করে কারণ বোঝা যেতে পারে।
  • হিস্টেরোস্কপি দ্বারা জরায়ুর সমস্যা চেক করা হয়।

জরায়ুতে টিউমার থাকলে গর্ভধারণ সম্ভব?

  • যদি টিউমার বা পলিপ থাকে, তবে তার অবস্থান দেখে চিকিৎসা করা হয়।
  • আধুনিক ল্যাপারোস্কোপি পদ্ধতিতে অপারেশন করা সম্ভব, যা সাধারণ খোলা অস্ত্রোপচারের তুলনায় সহজ ও নিরাপদ।

গর্ভাবস্থায় কি কাজ চালিয়ে যাওয়া যাবে?

  • হ্যাঁ, যদি কোনও জটিলতা না থাকে।
  • তবে অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক চাপ এড়িয়ে চলতে হবে।
  • ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না।

মানসিক চাপ কি গর্ভপাতের কারণ হতে পারে?

  • হ্যাঁ, মানসিক চাপ গর্ভপাতের অন্যতম কারণ হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় খাবার কেমন হওয়া উচিত?

  • কোনও নির্দিষ্ট খাবার নিষিদ্ধ নয়, তবে সুষম খাবার খাওয়া জরুরি।
  • বাইরের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা কি সমস্যা?

  • উরো-গাইনোকোলজি এই ধরনের সমস্যার চিকিৎসা করে।
  • বারবার প্রস্রাবের সংক্রমণ বা প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বারবার গর্ভপাত হলে কি ভবিষ্যতে গর্ভধারণের সমস্যা হতে পারে?

  • হ্যাঁ, একাধিক গর্ভপাত হলে জরায়ু দুর্বল হয়ে যায়, ফলে ভবিষ্যতে গর্ভধারণ কঠিন হতে পারে।
  • ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক বা সংক্রমণ থাকলে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ে।

বয়স বেশি হলে গর্ভধারণের ঝুঁকি কি বাড়ে?

  • হ্যাঁ, ৩৫-৪০ বছর পার হলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পরেই গর্ভধারণের পরিকল্পনা করা উচিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *